দ্বিতীয় অঙ্ক
[সেনাপতি উগ্রাদিত্যের প্রবেশ। চোখে মুখে অস্বাভাবিক ভীষণতা। কণ্ঠে, চলাফেরায়, ব্যবহারে বর্বর বন্য পশুকে স্মরণ করাইয়া দেয়। ক্ষুধিত ব্যাঘ্রের মতো চতুর্দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া, বুকের তলা হইতে ‘বাঘনখ’ অস্ত্র বাহির করিয়া সে এক মনে দেখিতে লাগিল। দূরে চন্দ্রিকার গান শুনিতেই চমকিয়া উঠিল।]
[গান করিতে করিতে চন্দ্রিকার প্রবেশ]
[গান]
চন্দ্রিকা :
এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল।
এ যে ব্যথা-রাঙা হৃদয় আঁখিজলে টলমল।।
কোমল মৃণাল দেহ ভরেছে কন্টক-ঘায়,
শরণ লয়েছি গো তাই শীতল দিঘির জল।।
ডুবেছি অতল জলে কত যে জ্বালা সয়ে
শত ব্যথা ক্ষত লয়ে হইয়াছি শতদল।।
আমার বুকের কাঁদন, তুমি বল ফুল-বাস,
ফিরে যাও, ফেলো না গো শ্বাস,
চন্দ্রিকা :
এ কী, সেনাপতি! লুকিয়ে আমার গান শুনছিলে বুঝি?
উগ্রাদিত্য :
(কর্কশ কণ্ঠে মুখ বিকৃত করিয়া) গান আমি কারুরই শুনিনে চন্দ্রিকা। আমি গাধার চিৎকার দশঘন্টা ধরে শুনতে পারি, কিন্তু মানুষের চিৎকার – হ্যাঁ চিৎকার বইকি, তা তোমরা তাকে হয়তো গান বলে থাক – এক মুহূর্তও শুনতে পারিনে।
চন্দ্রিকা :
বল কী উগ্রাদিত্য! গান হল চিৎকার? আর গাধার ডাক হল তোমার কাছে মানুষের – মানে আমার গানের চেয়েও সুন্দর? হলই বা ওরা তোমার আত্মীয়, তাই বলে কি এতটা পক্ষপাত করতে হয়?
উগ্রাদিত্য :
দেখ চন্দ্রিকা, তুমি যে কীসব কথা বল প্যাঁচ দিয়ে, আমি তার মানে বুঝি না, অবশ্য বুঝবার দরকারও নেই আমার। তোমার চলন বাঁকা, তোমার চোখের চাউনি বাঁকা, তোমার কথা বাঁকা!
চন্দ্রিকা :
অর্থাৎ আমি অষ্টাবক্র মুনি, এই তো! (গান করিয়া) “বাঁকা শ্যাম হে, বাঁকা তুমি, বাঁকা তোমার মন!”
উগ্রাদিত্য :
উঃ, মানুষদের কত বেশি মস্তিষ্ক-বিকৃতি ঘটলে এমন সুর করে চ্যাঁচাতে পারে। একরোখা চ্যাঁচানোর মানে বুঝি, তা সওয়া যায়, কিন্তু এই একবার জোরে, একবার আস্তে, একবার নাকি সুরে চ্যাঁচানো শুনে এমন রাগ ধরে!
চন্দ্রিকা :
এও আবার লোকে আদর করে শোনে! এত পাগলও আছে পৃথিবীতে! ভাগ্যিস তোমার মতো আরও দু-চারটি পাথুরে মস্তিষ্কের লোক নেই পৃথিবীতে, নইলে পৃথিবীটা এতদিন চিড়িয়াখানা হয়ে উঠত উগ্রাদিত্য! – (চমকিয়া) ও কী! তুমি অমন করে বাঘ-নখ ধরেছ কেন? তোমার চোখে হিংস্র বাঘের মতো অমন দৃষ্টি কেন? সাপ যেমন করে শিকারের দিকে তাকায়, – না আমার কেমন ভয় করছে। আমি পালাই!
[ছুটিয়া পলায়ন]
[চন্দ্রিকার হাত ধরিয়া জয়ন্তীর প্রবেশ]
জয়ন্তী :
কীরে, তুই অমন করে ছুটছিলি কেন? ভূত দেখলি নাকি?
চন্দ্রিকা :
(ভয়-জড়িত কণ্ঠে) হাঁ! না দিদি, ভূত নয়, বাঘ! নেকড়ে বাঘ!
জয়ন্তী :
বাঘ? কোথায় দেখলি?
চন্দ্রিকা :
(উগ্রাদিত্যকে দেখাইয়া) ওই দাঁড়িয়ে! হালুম! ওই দেখ, হাতে বাঘ-নখ! বাঘের মতো গোঁফ, চোখ, মুখ, শুধু ল্যাজটা হলেই ও পুরোপুরি বাঘ হয়ে যেত!
জয়ন্তী :
তুই বড়ো দুষ্টু চন্দ্রিকা! ওর পেছনে দিনরাত অমন করে ফেউলাগা হয়ে লেগে থাকলে ও তাড়া করবে না?
চন্দ্রিকা :
ফেউ কী সাধে লাগে দিদি? ফেউ ডাকে বলেই তো দেশের শিকারগুলো এখনও বেঁচে আছে। নইলে তোমার বাঘ এতদিন দেশ সাবাড় করে ফেলত।
জয়ন্তী :
কিন্তু, ও তো আমার কাছে দিব্যি শান্ত হয়ে থাকে। ওই দেখ না ওর বাঘ-নখ ওর বুকের ভিতর নিয়ে লুকিয়েছে!
চন্দ্রিকা :
কী জানি দিদি, ঘোড়ার লাথি ঘোড়াই সইতে পারে! ও তোমার পোষা বাঘ কি না!
উগ্রাদিত্য :
(তরবারি-মুষ্টি ললাটে ঠেকাইয়া অভিবাদন করিয়া সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল)।
জয়ন্তী :
(চন্দ্রিকার দিকে তাকাইয়া) দেখলি চন্দ্রিকা, ও আজ আমার কাছে মাথা হেঁট করে অভিবাদন করলে না। ললাটে তরবারি ছুঁইয়ে সম্মান দেখালে। ও বলে, ওর শির ভূমিস্পর্শ করতে পারে শুধু তারই খড়্গে, যে ওকে পরাজিত করবে।
চন্দ্রিকা :
সে মহাষ্টমী কখন আসবে দিদি! আমার বড্ড সাধ, মহিষ-মর্দিনীর পায়ে মহিষ-বলি দেখব!
জয়ন্তী :
ছি চন্দ্রিকা! তুই বড্ড প্রগল্ভা হয়েছিস। উগ্রাদিত্য, তুমি এখন যাও, আমি দরকার হলে ডাকব। আর দেখো, চন্দ্রিকার উপর রাগ কোরো না। মনে রেখো, ও আমারই ছোটো বোন।
উগ্রাদিত্য :
জানি রানি! (আবার ললাটে তরবারি ছোঁয়াইয়া অভিবাদন করিয়া চন্দ্রিকার দিকে অগ্নি-দৃষ্টিতে তাকাইয়া চলিয়া গেল।)
জয়ন্তী :
আচ্ছা চন্দ্রিকা! এই যে ওকে রাতদিন অমন করে খেপাস, ধর ওরই সাথে যদি তোর বিয়ে হয়!
চন্দ্রিকা :
বাঃ, দিদির চমৎকার পছন্দ তো! এ মুক্তোর মালা অমনই জীবের গলায় তো ঠিক ঠিক মানাবে।... আচ্ছা দিদি, ও অত নিষ্ঠুর কেন? যুদ্ধক্ষেত্রে দেখেছি, ও আহত সৈনিককেও হত্যা করতে ছাড়ে না! ও যেন বনের পশু। আদিম কালের বর্বর!
জয়ন্তী :
ও সত্যই মৃত্যুর মতো মমতাহীন। তাই ও জ্যান্ত আহত কারুর প্রতি কোনো মমতা দেখায় না। ওকে মারতে হবে – এইটাই ওর কাছে সত্য। ওই হচ্ছে পরিপূর্ণ পুরুষ, চন্দ্রিকা। ওর মাঝে একবিন্দু মায়া নেই, করুণা নেই। ওর এক তিলও নারী নয়! – পশু, বর্বর, নির্মম পুরুষ!
চন্দ্রিকা :
(হঠাৎ অন্যমনস্ক হইয়া গান করিতে লাগিল)
[গান]
বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে বাঁধব গো।।
পাষাণ বুকে নিঝর হয়ে কাঁদব গো।।
কুলের কাঁটায় স্বর্ণলতার দুলব হার,
ফণির ডেরায়, কেয়ার কানন ফাঁদব গো।।
ব্যাধের হাতে শুনব সাধের বংশি-সুর
আসলে মরণ চরণ ধরে সাধব গো।।
বাদল-ঝড়ে জ্বালব দীপ বিদ্যুৎলতার,
প্রলয়-জটায় চাঁদের বাঁধন ছাঁদব গো।।
জয়ন্তী :
আচ্ছা চন্দ্রিকা, সত্যি করে বল দেখি, ওর ওপর তোর এত আক্রোশ কেন? ওকে দেখতেও পারিসনে আবার ভুলতেও পারিসনে। ঘৃণা করার ছলে যে ওকে নিয়েই তোর মন ভরে উঠল।
চন্দ্রিকা :
(চমকিয়া উঠিয়া) সত্যিই তো দিদি, এমনি করেই বুঝি সাপের ছোবলে সাপুড়ের, বাঘের হাতে শিকারির মৃত্যু হয়। (একটু ভাবিয়া) তা ও-সাপ যদি নাচাতেই হয় আমাকে, ওর বিষ-দাঁতগুলো আগে ভেঙে দেব!
জয়ন্তী :
ছি, ছি, শেষে ঢোঁড়া নিয়ে ঘর করবি?
চন্দ্রিকা :
বিষ গেলে ওর কুলোপনা চক্র থাকবে তো। ফোঁস-ফোঁসানি থাকলেই হল, লোকে মনে করবে জাত-গোখরো। (চলিয়া যাইতে যাইতে ) সত্যি দিদি, আমার দিনরাত কেবলই মনে হয় ও কেন অমন বন্যপশু হয়ে থাকবে? ওকে কি লোকালয়ে মানুষ করে তোলার কেউ নেই? বড়ো দয়া হয় ওকে দেখলে। ও যেন সব চেয়ে নিরাশ্রয়, একা! ওর বন্ধু সাথি কেউ নেই! ওই পাথুরে পৌরুষকে নারীত্বের ছোঁয়া দিয়ে মুক্তি দিলে হয়তো মহাপুরুষ হয়ে উঠবে।
জয়ন্তী :
হ্যাঁ, দস্যু রত্নাকর হঠাৎ বাল্মীকি মুনি হয়ে উঠবেন!
চন্দ্রিকা :
বিচিত্র কি দিদি! সত্যি, বলো তো, কেন এমন হয়? ও কেন এমন বর্বর হল শুধু এই চিন্তাটাই আমাকে এমন পীড়া দেয়। ওকে কেন এমন করে পীড়ন করি? বেচারা বুনো! (হাসিয়া উঠিয়া) এক একবার এমন হাসি পায়! মনে হয় আমার সমস্ত শরীরটা দাঁত বের করে হাসছে।
[গান]
তাহারে দেখলে হাসি, সে যে আমার দেখন-হাসি,
(ওগো) আমি কচি, সে যে ঝুনো, আমি উনিশ
সে ঊন-আশি।।
সে যে চিল আমি ফিঙে, আমি বাঁট সে যে ঝিঙে।
আমি খুশি সে যে খাসি, সে যে বাঁশ আমি বাঁশি।
ও সে যত রাগে, অনুরাতে পরাই গলে তত ফাঁসি।।
জয়ন্তী :
তুই তোর বাঁদরের চিন্তা কর! আমি চললুম, আমার অনেক কাজ আছে। (প্রস্থানোদ্যত)
চন্দ্রিকা :
আচ্ছা দিদি, আমি কি তোমার কোনো কিছু জানবার অধিকারী নই? তোমার অনেক কাজ আছে বললে, কিন্তু ওই অনেক কাজের একটা কাজেও তো সাহায্য করতে ডাকলে না আমায়!
জয়ন্তী :
(চন্দ্রিকার মাথায় গায়ে হাত বুলাইতে বুলাইতে) পাগল! সবাই কি সব কাজের উপযুক্ত হয়! তোর প্রতি পরমাণুটি নারী, তাই শুধু হৃদয়ের ব্যাপার নিয়েই মেতে আছিস। আমার মধ্যে নারীত্ব যেমন, পৌরুষও তেমনই। তাই আমি এখন হাতে যেমন তরবারি ধরেছি, তেমনই সময় এলে চোখে বাণও হয়তো মারব। তুই আগাগোড়া নারী বলেই এই পা থেকে মাথা পর্যন্ত পশু উগ্রাদিত্যের এত চিন্তা করিস। আর আমি অর্ধ-নারী বলে পুরুষালি রাজ্যের চিন্তা নিয়ে মরি। তাই তুই হয়েছিস নারী, আর আমি হয়েছি রানি।
চন্দ্রিকা :
(রাগ করিয়া চলিয়া যাইতে যাইতে) তুমি যা না তাই বলছ দিদি আমায়! আমার মরণ নেই তাই গেলুম ওই বুনো জানোয়ারটাকে ভালোবাসতে। আমি চললুম ফের তোমার বাঘকে খোঁচাতে।
[প্রস্থান]
জয়ন্তী :
ওরে যাসনে। আঁচড়ে-কামড়ে দেবে হয়তো।... (ওই পথে চাহিয়া থাকিয়া) পাগল! বদ্ধ পাগল!
[উগ্রাদিত্যের প্রবেশ]
উগ্রাদিত্য :
আমার মনে ছিল না সম্রাজ্ঞী, আজ আমাদের অগ্নি-উৎসবের রাত্রি।
জয়ন্তী :
আমার মনে আছে সেনাপতি। কিন্তু এবার এ নৃত্যে যোগদান করব শুধু আমি আর আমার যোগিনীদল। তুমি আমার সব সৈন্য-সামন্ত নিয়ে ওই পার্বত্য-গিরিপথ রক্ষা করবে। আমাদের এই উৎসবের সুযোগ নিয়ে শত্রুরা যেন আমাদের আক্রমণ করতে না পারে।
[উগ্রদিত্যের পূর্বরূপ অভিবাদন করিয়া প্রস্থান]
জয়ন্তী :
কোথায় লো যোগিনীদল! আয়, আজ যে আমাদের অগ্নিবাসর।
[গান করিতে করিতে অগ্নিশিখা রঙের বেশভূষার সজ্জিত হইয়া যোগিনীদলের প্রবেশ]
[গান]
যোগিনী দল :
জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা।।
জাগো স্বাহা সীমান্ত রক্ত-টিকা।।
দিকে দিকে মেলি তব লেলিহান রসনা
নেচে চলো উন্মাদিনী দিগ্বসনা,
জাগো হতভাগিনি ধর্ষিতা নাগিনি
বিশ্ব-দাহন-তেজে জাগো দাহিকা।।
ধু ধু জ্বলে ওঠো ধূমায়িত অগ্নি!
জাগো মাতা কন্যা বধু জায়া ভগ্নী!
পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা।
চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা।।
জয়ন্তী :
আমি আগুন, তোরা সব আমার শিখা! আজ ফাল্গুন-পূর্ণিমা – আমার জন্মদিন। আগুনের জন্মদিন। এমনই ফাল্গুন-পূর্ণিমায় প্রথম নারীর বুকে প্রথম আগুন জ্বলেছিল। সে আগুন আজও নিবল না! কত ঘরবাড়ি বন কান্তার মরুভূমি হয়ে সে অগ্নিক্ষুধার ইন্ধন হল, তবু তার ক্ষুধা আর মিটল না। ও যেন পুরুষের বিরুদ্ধে প্রকৃতির যুদ্ধ-ঘোষণার রক্ত-পতাকা। নরের বিরুদ্ধে নারীর নিদারুণ অভিমান-জ্বালা।
[গান]
যোগিনী দল :
জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা
জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা।।
জয়ন্তী :
হাঁ, মীনকেতু গর্ব করে ঘোষণা করেছিল, সে নিখিল পুরুষের প্রতীক। যৌবন-সাম্রাজ্যের সম্রাট। ফুল আর হৃদয় দলে চলায় নাকি ওর ধর্ম। ওকে আমি জানাতে চাই যে, যৌবন শুধু পুরুষেরই নাই। ওদের যৌবন আসে ঝড়ের মতো, তুফানের মতো বেগে ; নারীর যৌবন আসে অগ্নিশিখার মতো রক্তদীপ্তি নিয়ে। আমি জানতে চাই, পুরুষের পৌরুষ দুর্দান্ত যৌবনকে যুগে যুগে নারীর যৌবনই নিয়ন্ত্রিত করেছে। নারীর হাতের লাঞ্ছনা-তিলকই ওদের নিরাভরণ রূপকে সুন্দর করে অপরূপ করে তুলেছে। মীনকেতু যদি হয় নিখিল পুরুষের প্রতীক, আমিও তাহলে নিখিল নারীর বিদ্রোহ ঘোষণা – তার বিরুদ্ধে – নিখিল পুরুষের বিরুদ্ধে।
[যোগিনীগণের অগ্নিনৃত্য]
[গান]
যোগিনী দল :
জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা –
[দূরে তূর্য-নিনাদ, সৈনিকদলের পদধ্বনি, জয়ধ্বনি ও গান]
জয়ন্তী :
ওই উগ্রাদিত্য চলেছে আমার অজেয় মরুসেনা নিয়ে। চলো আমরা দূরে দাঁড়িয়ে ওদের জয়-যাত্রার ওই অপরূপ শোভা দেখি গিয়ে। বিরাট-সুন্দরকে দেখতে হলে দূর থেকেই দেখতে হয়, নইলে ওর পরিপূর্ণ রূপ চোখে পড়ে না।
[জয়ন্তী ও যোগিনীদলের প্রস্থান]
[গান ও মার্চ করিতে করিতে যশলমির-সেনাদলের প্রবেশ]
ঘন
তূর্য-রোলে শোক মৃত্যু ভোলে,
দেয়
আশিস সূর্য সহস্র করে।।
মোছে
রক্তে ললাট-কলঙ্ক-লেখা!
কাঁপে
মন্দিরে ভৈরবী একী বলিদান,
জাগে
নিঃশঙ্ক ত্যজিয়া শ্মশান!
বাজে ডম্বরু, অম্বর কাঁপিছে ডরে।
No comments:
Write comments