(গান)
আমি হজে যেতে পাইনি বলে কেঁদেছিলাম রাতে।
তাই হজরত এসে স্বপ্নে মাগো ধরেছিলেন হাতে।।
যেদিন বাবা গেলেন কাবার হজে, বলেছিলেন কাঁদি –
ধরে নবির কবর, বলো, কি দোষ করেছে এ বাঁদি
মোর মদিনা-মোহন হঠাৎ শুনলেন কী সেই মুনাজাতমুনাজাত : প্রার্থনা।
তাই খাবেখাবে : স্বপ্নে। এসে বলেছিলেন, ‘যাবে কি মোর সাথ!’
যেন জয়তুন গাছের ডাল ধরে মা বললেন আঁখিজলে–
‘দেখবে কাবা আমায় পাবে, (এই)কল্পতরুতলে।’
মা হঠাৎ এল শুভ্রজ্যোতি, আঁধার হল আলা,
যেন নীল সাগরের ঢেউয়ে দোলে লাখো মোতির মালা।
মোর সকল জ্বালা জুড়িয়ে গেল সেই কাবা আরফাতে।।
এই কাবায় গেলে আজও হজরতের দিদার পাওয়া যায় – এবং হজরতের শাফায়তশাফায়ত : সুপারিশ। পেলে আল্লার দিদার পাওয়া যায়। এই আরফাতে নিত্য মিলন, নিত্য আনন্দ, সেখানে মৃত্যু নাই, কেবল অমৃত। দুনিয়ার আরফাতের ময়দানে সে মহা-মিলনের আভাস পাই, তা সেই পরম কাবা ঘরের পরমানন্দের ঈষৎ ছায়া মাত্র। আমরা আজ ঈদে যেন ভাইয়ে ভাইয়ে সকল বিদ্বেষ, হিংসা হানাহানি ভুলে – সকল কাম-ক্রোধাদি ষড়রিপুর পশুকে কোরবানি দিয়ে কতলগাহকেইকতলগাহ : বধ্যভূমি। ঈদগাহে পরিণত করে প্রেমের সেই ঈদগাহে গলাগলি করে গাইতে পারি : –
No comments:
Write comments