Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, November 13, 2016

নিরালোক

একবার নক্ষত্রের দিকে চাই — একবার প্রান্তরের দিকে

আমি অনিমিখে।

ধানের ক্ষেতের গন্ধ মুছে গেছে কবে

জীবনের থেকে যেন; প্রান্তরের মতন নীরবে

বিচ্ছিন্ন খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার;

নক্ষত্রেরা বাতি জ্বেলে জ্বেলে — জ্বেলে — ‘নিভে গেলে — নিভে গেলে?’

বলে তারে জাগায় আবার;


জাগায় আবার।

বিক্ষত খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে — বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার,

ঘুম পায় তার।

অনেক নক্ষত্রে ভরে গেছে এই সন্ধ্যার আকাশ — এই রাতের আকাশ;

এইখানে ফাল্গুনের ছায়া-মাখা ঘাসে শুয়ে আছি;

এখন মরণ ভালো — শরীরে লাগিয়া রবে এই সব ঘাস;

অনেক নক্ষত্র রবে চিরকাল যেন কাছাকাছি।

কে যেন উঠিল হেঁচে–হামিদের মরখুটে কানা ঘোড়া বুঝি!

সারা দিন গাড়ি টানা হল ঢের — ছুটি পেয়ে জ্যোৎস্নায় নিজ মনে

খেয়ে যায় ঘাস;

যেন কোনো ব্যথা নাই? পৃথিবীতে — আমি কেন তবে মৃত্যু খুঁজি?

‘কেন মৃত্যু খোঁজো তুমি?’ চাপা ঠোঁটে বলে দূর কৌতুকী আকাশ।

ঝাউফুলে ঘাস ভরে — এখানে ঝাউয়ের নিচে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে;

কাশ আর চোরকাঁটা ছেড়ে দিয়ে ফড়িং চলিয়া গেছে ঘরে।

সন্ধ্যার নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন্‌ পথে কোন্‌ ঘরে যাব!

কোথায় উদ্যম নাই, কোথায় আবেগ নাই — চিন্তা স্বপ্ন ভুলে গিয়ে

শান্তি আমি পাব?

রাতের নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন্‌ পথে যাব?

‘তোমারই নিজের ঘরে চলে যাও’ — বলিল নক্ষত্র চুপে হেসে–

‘অথবা ঘাসের ’পরে শুয়ে থাকো আমার মুখের রূপ ঠায় ভালোবেসে;

অথবা তাকায়ে দ্যাখো গরুর গাড়িটি ধীরে চ’লে যায় অন্ধকারে

সোনালি খড়ের বোঝা বুকে;

পিছে তার সাপের খোলস, নালা খলখল অন্ধকার — শান্তি তার

রয়েছে সমুখে;

চলে যায় চুপে চুপে সোনালি খড়ের বোঝা বুকে–

যদিও মরেছে ঢের গন্ধর্ব, কিন্নর, যক্ষ, –তবু তার মৃত্যু নাই মুখে।’

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !