সোহিনী – একতালা
কোরাস:
থাকিতে চরণ মরণে কি ভয়, নিমেষে যোজন ফরসা,
মরণ-হরণ নিখিল-শরণ জয় শ্রীচরণ ভরসা।।
গর্বের শির খর্ব মোদের? চরণ তেমনই লম্বা!
শৈশব হতে আ-মরণ চলি সবারে দেখায়ে রম্ভা।
সার্জেন্ট যবে আর্জেন্ট-মার হাতে করে আসে তাড়ায়ে
না হয়ে ক্রুদ্ধ পদ প্রবুদ্ধ সম্মুখে দিই বাড়ায়ে।।
বপু কোলা ব্যাং, রবারের ঠ্যাং, প্রয়োজন মতো বাড়ে গো!
সমানে আঁদাড়ে বনে ও বাদাড়ে পগারে পুকুর-পাড়ে গো
লখিতে চকিতে লঙ্ঘিয়া যায় গিরি-দরি-বন-সিন্ধু,
ওই এক পথে মিলিয়াছি মোরা, সম মুসলিম-হিন্দু।।
কহিতেছে নাকি বিশ্ব, আমরা রণে পশ্চাতে হেঁটে যাই।
পশ্চাত দিয়ে ছুটে কেউ? হেসে মরিব কি দম ফেটে ছাই?
ছুটি যবে মোরা সুমুখেই ছুটি, পশ্চাতে পাশে হেরি না,
সামনে ছোটারে পিছু হাঁটা বল? রাঁচি যাও, আর দেরি না।
আমাদের পিছে ছুটিতে ছুটিতে মৃত্যু পড়িবে হাঁপায়ে,
জিভ বার হয়ে পড়িবে যমের, জীবন তখন বাঁ পায়ে!
মোরা দেবজাতি ছিনু যে একদা – আজও তার স্মৃতি চরণে,
ছুটি না তো, যেন উড়ে চলি নভে, থাকে নাকো ধুতি পরনে।।
বাপ-পিতাম-র প্রদর্শিত এ পথ মহাজন-পিষ্ট,
গোস্বামী-মতে পরাহেও বাবা এ পথে মিলিবে ইষ্ট!
মরে যদি যাও, তাহলে তো তুমি একদম গেলে মরিয়াই!
পলাইল যেই বেঁচে গেল সেই, জনম চরণ ধরিয়াই।।
No comments:
Write comments