ইমন-বেলাওল – তেওড়া
যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল তাহারই বজ্র শিরে ধরি
ঝড়ের বন্ধু আঁধার নিশীথে ভাসায়েছি মোরা ভাঙা তরি।।
মোদের পথের ইঙ্গিত ঝলে বাঁকা বিদ্যুতে কালো-মেঘে,
মরু-পথে জাগে নব অঙ্কুর মোদের চলার ছোঁয়া লেগে,
মোদের মন্ত্রে গোরস্থানের আঁধারে ওঠে গো প্রাণ জেগে,
দীপ-শলাকার মতো মোরা ফিরি ঘরে ঘরে আলো সঞ্চরি।
নবজীবনের ‘ফোরাত’ফোরাত : আরবের এই ইউফ্রেটিস নদীর তীরে 'কারবালা' প্রান্তরে হজরত মোহাম্মদের দৌহত্র ইমাম হোসেন এজিদের সৈন্য কর্তৃক শহিদ হন।-কূলে গো কাঁদে ‘কারবালা’ তৃষ্ণাতুর,
ঊর্ধ্বে শোষণ-সূর্য, নিম্নে তপ্ত বালুকা ব্যথা-মরুর।
ঘিরিয়া য়ুরোপ – ‘এজিদের’ সেনা এপার ওপার নিকট দূর,
এরই মাঝে মোরা ‘আব্বাস’আব্বাস : কারবালা-যুদ্ধের অমর বীর। ইঁহার দুই হাত শত্রু কর্তৃক কর্তিত হইলে দাঁত দিয়ে জলের মশক এনেছিলেন। সম পানি আনি প্রাণ পণ করি!
যখন জালিমজালিম : অত্যাচারী। ‘ফেরাউন’ফেরাউন : ফেরাউন, মুসা— Pharaoh এবং Moses। মুসাকে মারতে গিযে মিশরের নীল নদীতে সসৈন্য ফেরাউন ডুবে মারা যায়। চাহে ‘মুসা’মুসা : ঈশ্বরদ্রোহী নম্রুদ ইব্রাহিম পয়গম্বরকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে, ঈশ্বরের মহিমায় সে আগুন ফুলবন হইয়া উঠে। ও সত্যে মারিতে ভাই,
নীল দরিয়ার মোরা তরঙ্গ, বন্যা আনিয়া তারে ডুবাই,
আজও ‘নম্রুদ্’নম্রুদ্ : ঈশ্বরদ্রোহী নম্রুদ ইব্রাহিম পয়গম্বরকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে, ঈশ্বরের মহিমায় সে আগুন ফুলবন হইয়া উঠে। ইব্রাহিমেরে’ইব্রাহিম : ঈশ্বরদ্রোহী নম্রুদ ইব্রাহিম পয়গম্বরকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে, ঈশ্বরের মহিমায় সে আগুন ফুলবন হইয়া উঠে। মারিতে চাহিছে সর্বদাই,
আনন্দ-দূত মোরা সে আগুনে ফোটাই পুষ্প-মঞ্জরী।।
ভরসার গান শুনাই আমরা ভয়ের ভূতের এই দেশে,
জরা-জীর্ণেরে যৌবন দিয়া সাজাই নবীন বর-বেশে।
মোদের আশায় উষার রঙে গো রাতের অশ্রু যায় ভেসে,
মশাল জ্বালিয়া আলোকিত করি ঝড়ের নিশীথ-শর্বরী।।
নূতন দিনের নব যাত্রীরা চলিবে বলিয়া এই পথে
বিছাইয়া যাই আমাদের প্রাণ, সুখ, দুখ, সব আজি হতে।
ভবিষ্যতের স্বাধীন-পতাকা উড়িবে যে দিন জয়-রথে
আমরা হাসিব দূর তারা-লোকে ওগো তোমাদের সুখ স্মরি।।
No comments:
Write comments