Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, November 27, 2016

কখনো নক্ষত্রহীন

নব-ভারতের হলদিঘাট


বালাশোর – বুড়িবালামের তীর –


নব-ভারতের হলদিঘাট,


উদয়-গোধূলি-রঙে রাঙা হয়ে


উঠেছিল যথা অস্তপাট।


  


আ-নীল গগন-গম্বুজ-ছোঁয়া


কাঁপিয়া উঠিল নীল অচল,


অস্তরবিরে ঝুঁটি ধরে আনে


মধ্য গগনে কোন পাগল!


আপন বুকের রক্তঝলকে


পাংশু রবিরে করে লোহিত,


বিমনানে বিমানে বাজে দুন্দুভি,


থরথর কাঁপে স্বর্গ-ভিত।


দেবকী মাতার বুকের পাথর


নড়িল কারায় অকস্মাৎ


বিনা মেঘে হল দৈত্যপুরীর


প্রাসাদে সেদিন বজ্রপাত।


নাচে ভৈরব, শিবানী, প্রমথ


জুড়িয়া শ্মশান মৃত্যুনাট, -


বালাশোর – বুড়িবালামের তীর –


নব ভারতের হলদিঘাট।


অভিমন্যুর দেখেছিস রণ?


যদি দেখিসনি, দেখিবি আয়,


আধা-পৃথিবীর রাজার হাজার


সৈনিকে চারি তরুণ হটায়।


ভাবী ভারতের না-চাহিতে আসা


নবীন প্রতাপ, নেপোলিয়ন,


ওই ‘যতীন্দ্র’ রণোন্মত্ত –


শনির সহিত অশনি-রণ।


দুই বাহু আর পশ্চাতে তার


রুষিছে তিনটি বালক শের,


‘চিত্তপ্রিয়’, ‘মনোরঞ্জন’,


‘নীরেন’ – ত্রিশূল ভৈরবের!


বাঙালির রণ দেখে যা রে তোরা


রাজপুত, শিখ, মারাঠি, জাঠ!


বালাশোর – বুড়িবালামের তীর –


নব-ভারতের হলদিঘাট।


  


চার হাতিয়ারে – দেখে যা কেমনে


বধিতে হয় রে চার হাজার,


মহাকাল করে কেমনে নাকাল


নিতাই গোরার লালবাজার!


অস্ত্রের রণ দেখেছিস তোরা,


দেখ নিরস্ত্র প্রাণের রণ;


প্রাণ যদি থাকে – কেমনে সাহসী


করে সহস্র প্রাণ হরণ!


হিংস-বুদ্ধ-মহিমা দেখিবি


আয় অহিংস-বুদ্ধগণ


হেসে যারা প্রাণ নিতে জানে, প্রাণ


দিতে পারে তারা হেসে কেমন!


অধীন ভারত করিল প্রথম


স্বাধীন-ভারত মন্ত্রপাঠ,


বালাশোর – বুড়িবালামের তীর –


নব-ভারতের হলদিঘাট।


  


সে মহিমা হেরি ঝুঁকিয়া পড়েছে


অসীম আকাশ, স্বর্গদ্বার,


ভারতের পূজা-অঞ্জলি যেন


দেয় শিরে খাড়া নীল পাহাড়!


গগনচুম্বী গিরিশের হতে


ইঙ্গিত দিল বীরের দল,


‘মোরা স্বর্গের পাইয়াছি পথ –


তোরা যাবি যদি, এ পথে চল!


স্বর্গ-সোপানে রাখিনু চিহ্ন


মোদের বুকের রক্ত-ছাপ,


ওই সে রক্ত-সোপানে আরোহি


মোছ রে পরাধীনতার পাপ!


তোরা ছুটে আয় অগণিত সেনা,


খুলে দিনু দুর্গের কবাট!’


বালাশোর – বুড়িবালামের তীর –


নব-ভারতের হলদিঘাট।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !