৪৭
হিতে বিপরীত
কীর্তন
আমি
তুরগ ভাবিয়া মোরগে চড়িনু
সে লইল মিয়াঁর ঘরে।
আমার
কালি-মা ছাড়ায়ে কলেমা পড়ায়ে
বুঝি মুসলিম করে!
আঁখর :
আমায় বুঝি মুসলিম করে গো!
শেষে আস্ত ধরিয়া গোস্ত খাওয়ায়ে –
মামদো করিবে গোরা গো!
আমার
টিকি করি দূর রেখে দেবে নূর
জবাই করিবে পরে গো॥
আমি
বাসব ভাবিয়া রাসভে পূজিনু
স্বর্গে যাইতে সোজা,
সে যে
লয়ে এঁদো ঘাটে, ফেলে দিল পাটে
ভাবিয়া ধোবির বোঝা!
আঁখর :
হল হিতে বিপরীত সবই গো!
আমি
ভবানী ভাবিয়া করিতে প্রণাম
হেরি বাগদিনি ভবি গো
আমি
শীতল হইতে চাহিনু, আনিল
শীতলা-বাহনে ধোবি গো॥
বাবা
শিবের বাহন ভাবিয়া বৃষভ-
লাঙুল ঠেকানু ভালে,
হায়
নিল না সে পূজা, শিং দিয়ে সোজা
গুঁতায়ে ফেলিল খালে!
আঁখর :
আমার কপাল বেজায় ফুটো গো!
আমি
জগন্নাথ হেরিতে হেরিনু
ধবল-কুষ্ঠী ঠুঁটো গো!
বাঁকা
অঙ্গ হেরিয়া জড়ায়ে ধরিতে
হেরি ত্রিভঙ্গ খুঁটো গো॥
মোর
মহিষী গৃহিণী খুশি হবে ভেবে
মহিষ কিনিয়া আনি!
বাবা
মরি এবে ত্রাসে, শিং নেড়ে আসে
মহিষ, মহিষী রানি!
আঁখর :
আমি কেমনে জীবন ধরি গো!
আমি
‘হরি বোল’বলে ডাকিতে হরি-রে!
হয়ে যায় ‘বলো হরি’গো॥
No comments:
Write comments