আমার
প্রাণের সাগরে জোয়ার জাগে চাঁদের লাগি।
রাতে
রবির কিরণ শরণ মাগে চাঁদের লাগি।
আমার
কলঙ্কী চাঁদ।
আমি
যেদিকে তাকাই হেরি ও-রূপ কেবল,
সে যে
আমারই মাঝারে রহে করি নানা ছল।
সে যে
বেণি হয়ে দুলে পিঠে চপল চতুর।
সে যে
আঁখির তারায় হাসে কপট নিঠুর।
সখী গো –
সখী
আঁখি মোর বিবাদী হল
সেও কালার রূপে গলে।
আমার
বুকের কথা চোখে এল
চোখের জল সই সেও কালো।
সখী লো মোর মরণ ভালো!
সে যে
আঁখিপাতা হয়ে থাকে ঘিরিয়া আঁখি
বনে
বনে ডাকে তারই আঁখি কোয়েলা পাখি।
কাঁদে
ফাল্গুনে গুণ গুণ ফুল-ভোমরা,
বন-
হরিণীর চোখে তারই কাজল পরা।
তারে কেমনে ভুলিব।
বলো সখী তারে কেমনে ভুলিব।
আমার
অঙ্গ জড়ায়ে দুলে সে রঙ্গে
শাড়ি সে নীলাম্বরী গো।
আমি
কুল ছাড়িয়াছি, আজ দেখি সখী
দুকুল লইয়া মরি গো,
আমি
বসন-ভূষণ তারই-র সখা
কেমনে তায় ভুলিব।
থাকে
কবরী-বন্ধে কালো ডোর হয়ে
কালফণী কালো কেশে গো।
থাকে
কপালের টিপে, চোখের কাজলে,
কপোলের তিলে মিশে গো।
আমার
একুল ওকুল দুকুল গেল।
আমার
কুলে সই পড়িল কালি
সেও কালার রূপে এল।
আমার
কপালের কলঙ্ক-তিলক
সেও কালার রূপে এল।
রাখি
কী দিয়া মন বাঁধিয়া,
আমার
সকলই ভাসিল সখী
কালো যমুনারই জলে
সকলই ভাসিল –
রাখি
কী দিয়া মন বাঁধিয়া
বাঁধিয়া বাঁধিয়া বাঁধিয়া গো ।।
No comments:
Write comments