Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, November 13, 2016

নিরঙ্কুশ

মালয় সমুদ্র পারে সে এক বন্দর আছে শ্বেতাঙ্গিনীদের।

যদিও সমুদ্র আমি পৃথিবীতে দেখে গেছি ঢেরঃ

নীলাভ জলের রোদে কুয়ালালুম্পুর, জাভা, সুমাত্রা ও ইন্দোচীন, বালি

অনেক ঘুরেছি আমি- তারপর এখানে বাদামী মলয়ালী

সমুদ্রের নীল মরুভূমি দেখে কাঁদে সারাদিন।

শাদা-শাদা ছোটো ঘর নারকেল ক্ষেতের ভিতরে

দিনের বেলায় আরো গাঢ় শাদা জোনাকির মতো ঝরঝরে।

শ্বেতাঙ্গদম্পতি সব সেইখানে সামুদ্রিক কাঁকড়ার মতো

সময় পোহায়ে যায়, মলয়ালী ভয় পায় ভ্রান্তিবশত,

সমুদ্রের নীল মরুভূমি দেখে কাঁদে সারাদিন।

বাণিজ্যবায়ুর গল্পে একদিন শতাব্দীর শেষে

অভ্যুত্থান শুরু হ'লো এইখানে নীলসমুদ্রের কটিদেশে;

বাণিজ্যবায়ুর হর্ষে কোনো একদিন,

চারিদিকে পামগাছ- খোলা মদ- বেশ্যালয়- সেঁকো- কেরোসিন

সমুদ্রের নীল মরুভূমি দেখে কাঁদে সারাদিন।

সারাদিন দূর থেকে ধপঁইয়া রৌদ্রে রিরাংসায় সে ঊনপঞ্চাশ

বাতাস তবুও বয়- উদীচির বিকীর্ণ বাতাস;

নারকেল কুঞ্জবনে শাদা-শাদা ঘরগুলী ঠাণ্ডা ক'রে রাখে;

লাল কাঁকরের পথ- রক্তিম গির্জার মুণ্ড দেখা যায় সবুজের ফাঁকেঃ

সমুদ্রের নীল মরুভূমি দেখে কাঁদে সারাদিন।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !