Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Saturday, November 26, 2016

চেতনা লিখন

সই পাতাল কি শরতে আজিকে স্নিগ্ধ আকাশ ধরণি?


নীলিমা বাহিয়া সওগাত নিয়া নামিছে মেঘের তরণি!


অলকার পানে বলাকা ছুটিছে মেঘ-দূত-মন মোহিয়া


চঞ্চুতে রাঙা কলমির কুঁড়ি – মরতের ভেট বহিয়া।


সখীর গাঁয়ের সেঁউতি-বোঁটার ফিরোজায় রেঙে পেশোয়াজ


আশমানি আর মৃন্ময়ী সখী মিশিয়াছে মেঠো পথ-মাঝ।


আকাশ এনেছে কুয়াশা-উড়ুনি, আশমানি-নীল কাঁচুলি,


তারকার টিপ, বিজুলির হার, দ্বিতীয়া-চাঁদের হাঁসুলি।


ঝরা-বৃষ্টির ঝর ঝর আর পাপিয়া শ্যামার কূজনে


বাজে নহবত আকাশ ভুবনে – সই পাতিয়েছে দুজনে!


আকাশের দাসী সমীরণ আনে শ্বেত পেঁজা মেঘ ফেনা ফুল,


হেথা জলে-থলে কুমুদে-কমলে আলুথালু ধরা বেয়াকুল।


আকাশ-গাঙে কি বান ডেকেছে গো, গান গেয়ে চলে বরষা,


বিজুরির গুন টেনে টেনে চলে মেঘ-কুমারীরা হরষা।


হেথা মেঘ-পানে কালো চোখ হানে মাটির কুমার মাঝিরা,


জল ছুঁড়ে মারে মেঘ-বালাদল, বলে, ‘চাহে দেখ পাজিরা!’


কহিছে আকাশ, “ওলো সই, তোর চকোরে পাঠাস নিশিতে,


চাঁদ ছেনে দেব জোছনা-অমৃত তোর ছেলে যত তৃষিতে।


আমারে পাঠাস সোঁদা-সোঁদা-বাস তোর ও-মাটির সুরভি


প্রভাত-ফুলের পরিমল মধু, সন্ধ্যাবেলার পুরবি।”


হাসিয়া উঠিল আলোকে আকাশ নত হয়ে এলো পুলকে


লতা-পাতা-ফুলে বাঁধিয়া আকাশে ধরা কয়, “সই, ভূলোকে


বাঁধা পলে আজ”, চেপে ধরে বুকে লজ্জায় ওঠে কাঁপিয়া,


চুমিল আকাশ নত হয়ে মুখে ধরণির বুকে ঝাঁপিয়া।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !