Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, November 27, 2016

নদী

সুরের দুলাল


পাকা ধানের গন্ধ-বিধুর হেমন্তের এই দিন-শেষে,


সুরের দুলাল, আসলে ফিরে দিগ্‌বিজয়ীর বর-বেশে!


আজও মালা হয়নি গাঁথা হয়নি আজও গান-রচন,


কুহেলিকার পর্দা-ঢাকা আজও ফুলের সিংহাসন।


অলস বেলায় হেলাফেলায় ঝিমায় রূপের রংমহল,


হয়নিকো সাজ রূপকুমারীর, নিদ টুটেছে এই কেবল।


আয়োজনের অনেক বাকি – শুননু হঠাৎ খোশখবর,


ওরে অলস, রাখ আয়োজন, সুর-শাজাদা আসল ঘর।


ওঠ রে সাকি, থাক না বাকি ভরতে রে তোর লাল গেলাস,


শূন্য গেলাস ভরব – দিয়ে চোখের পানি মুখের হাস।


  


দম্ভ ভরে আসল না যে ধ্বজায় বেঁধে ঝড়-তুফান,


যাহার আসার খবর শুনে গর্জাল না তোপ-কামান,


কুসুম দলি উড়িয়ে ধূলি আসল না যে রাজপথে –


আয়োজনের আড়াল তারে করব গো আজ কোনোমতে।


সে এল গো যে-পথ দিয়ে স্বর্গে বহে সুরধুনী,


যে-পথ দিয়ে ফেরে ধেনু মাঠের বেণুর রব শুনি।


যেমন সহজ পথ দিয়ে গো ফসল আসে আঙিনায়,


যেমন বিনা সমারোহে সাঁঝের পাখি যায় কুলায়।


সে এল যে আমন-ধানের নবান্ন উৎসব-দিনে,


হিমেল হাওয়ায় অঘ্রানের এই সুঘ্রাণেরই পথ চিনে।


  


আনেনি সে হরণ করে রত্ন-মানিক সাত-রাজার


সে এনেছে রূপকুমারীর আঁখির প্রসাদ, কণ্ঠহার।


  


সুরের সেতু বাঁধল সে গো, ঊর্ধ্বে তাহার শুনি স্তব,


আসছে ভারত-তীর্থ লাগি শ্বেত-দ্বীপের ময়দানব।


পশ্চিমে আজ ডঙ্কা বাজে পুবের দেশের বন্দিদের,


বীণার গানে আমরা জয়ী, লাজ মুছেছি অদৃষ্টের।


  


কন্ঠ তোমার জাদু জানে, বন্ধু ওগো দোসর মোর!


আসলে ভেসে গানের ভেলায় বৃন্দাবনের বংশী-চোর।


  


তোমার গলার বিজয়-মালা বন্ধু একা নয় তোমার,


ওই মালাতে রইল গাঁথা মোদের সবার পুরস্কার।


কখন আঁখির অগোচরে বসলে জুড়ে হৃদয়-মন,


সেই হৃদয়ের লহো প্রীতি, সজল আঁখির জল-লিখন।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !