২০
কীর্তন
কেন
প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো।।
আমি
যত ভুলি ভুলি করি
তত আঁকড়িয়া ধরি
তত মরি সাধিয়া
সাধিয়া সাধিয়া সাধিয়া গো।
শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায়
নিখিল শ্যামল যার শোভায়।
আকাশ সাগরে বনে কান্তারে
লতায় পাতায় সে রূপ ভায়।
আমার
বঁধূর রূপের ছায়া বুকে ধরি
আকাশ-আরশি নীল গো,
বহে
ভুবন প্লাবিয়া কালারে ভাবিয়া
কালো সাগর-সলিল গো।
আমার
শ্যামেরে কাজল পরাইতে মেঘ
ঝুরে ঝুরে ঘুরে গগনে।
আমার
শ্যামের মুকুট-চূড়া হয়ে শিখী
নেচে ফেরে বন-ভবনে
সখী গো –
সখী
নিখিল তারে ধেয়ায় গো।
এই
রাধিকার পারা কোটি শশী তারা
তার নীল বুকে লুটায় গো।
যদি
ফুল হয়ে ফুটি তরু-শাখে
সে যে
পল্লব হয়ে ঘিরে থাকে।
যদি
একাকিনী চলি বনতলে
সে যে
ছায়া হয়ে পিছে পিছে চলে।
যদি
একা ঘরে মোর দীপ জ্বালি
আসে
আঁধারের রূপে বনমালী। –
সখী গো –
আমার
কলঙ্কী চাঁদ।
তার
কলঙ্ক চেয়ে জ্যোৎস্না বেশি,
কলঙ্ক তার দেখে কে।
লোকে
আমার চাঁদে কলঙ্কী কয়
জ্যোৎস্না তাহারই মেখে।
আমি
তারই-র লাগি
অ
কুমুদিনী হয়ে জলে ডুবে রই তারই-র লাগি
আমি
চকোরিণী হয়ে নিশীথ জাগি তারই-র লাগি।
No comments:
Write comments